Project Revival
Season 02 | Episode 01
Salzburg, Austria
স্বাগতম সবাইকে অস্ট্রিয়ার সালজবুর্গ সেন্ট্রাল স্টেশন থেকে প্রজেক্ট রিভাইভালের দ্বিতীয় সিজনের প্রথম পর্বে।
সালজবুর্গ নামের অর্থ লবণের প্রাসাদ, যা এসেছে শত বছর ধরে এই অঞ্চলের লবণের খনির প্রাচুর্যতার কারণে। অদূরে পাহাড়, মাঝে স্বচ্ছ জলের সালজাক নদী, নান্দনিক আর্কিটেকচার ও ঐতিহ্য সমৃদ্ধ এই শহরটি ভ্রমনপ্রিয় মানুষের কাছে অস্ট্রিয়ার সবচেয়ে জনপ্রিয় জায়গাগুলোর মাঝে একটি। তাছাড়া বিশ্বখ্যাত মিউজিক কম্পোজার মোজার্ট এর শহর বলেও বেশ পরিচিত এই সালজবুর্গ।
সালজবুর্গের মূল যানবাহন বাস ও ট্রাম। মাত্র ৪ ইউরো দিনে পুরো দিনের জন্য একটা টিকিট কিনে নিলেই ঘোরা যাবে সারাদিন। তবে শহরের মূল আকর্ষণগুলো একরকম হেঁটেই ঘুরে ফেলা যায়। আর হাটার জন্য ওল্ড টাউন হচ্ছে একদম পারফেক্ট জায়গা। শুধু পথচারীদের জন্য হাটার রাস্তা, দুইপাশে কেনাকাটার জন্য অনেক দোকানপাট, বিভিন্ন রককম স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক রেস্টুরেস্ট, ইত্যাদি চোখে পরার মতন।
ওল্ড টাউনের বড় অংশ সালজাক নদীর পাড় ঘেঁষেই অবস্থিত। পাহাড় থেকে বয়ে আসা স্বচ্ছ পানির এই নদীই প্রাচীনকাল থেকে এখন অব্দি সালজবুর্গের মূল কেন্দ্র বলা যায়।
বড়দিন চলে গেলেও উৎসবের আমেজ এখনও চারিদিকে তাকালেই দেখা যায়। নানা রঙের বাতির সাজসজ্জা, ক্রিসমাস ট্রি ডেকোরেশন, কিংবা মানুষের ভিড়, সব মিলিয়ে ছুটির দিনে আনন্দের রেশ সবখানেই। আর বড়দিনের এই সাজসজ্জার মূল কেন্দ্রবিন্দু হচ্ছে ক্রিসমাস মার্কেট। তাই ঢুকে পড়লাম ওল্ড টাউনের এই ক্রিসমাস মার্কেটে। দোকানিরা এটাসেটার পসরা সাজিয়ে বসেছে। হাতে তৈরি জিনিসপত্র, বাসা সাজানোর শোপিস, বাতি, ইত্যাদি বাদেও হরেক রকমের খাবারের দোকানেও মানুষের ভিড় দেখা গেল। আর মেলায় ঘুরে ফিরে ক্ষুধা পেয়ে গেলে ওয়াফেল, চেস্ট নাট, হট ডগ, হট ওয়াইন, ইত্যাদির দোকানে ভিড় করাই যায়।
ট্রাওন নদীর পাশ দিয়ে হেঁটে আর স্রোতের শব্দ শুনতে শুনতে মনে পড়ে গেল ২০১৯ সালে এই বাড গইসার্ন থাকার অভিজ্ঞতার কথা, আবহাওয়া ভাল থাকায় সেবার দূরের পাহাড়গুলো ভালভাবে দেখা গেছে। তবে এই বৃষ্টি আর সাদা বরফের আস্তরণে ঢাকা বাদ গইসার্নও অন্যরকম সুন্দর।
হলস্ট্যাট সম্ভবত অস্ট্রিয়ার সবচেয়ে বেশি পরিচিত জায়গাগুলোর মাঝে একটি। ইন্টারনেটে এই একটি ছবির ফ্রেম দেখে অনেক মানুষ ভিড় করেন এই জায়গাটিতে। আমরাও তাই এই সুন্দর দৃশ্যটিকে ফ্রেমবন্দি করে নিলাম। ১৭শ শতাব্দীর বাড়িঘর, শতশত বছরের পুরানো লবণের খনি, একদম ছবির মতন পাহাড়-লেকের সমষ্টি - সব মিলিয়ে অসাধারণ জায়গা। এই অঞ্চলে প্রায় ৭০০০ বছর আগে প্রথম লবণের সন্ধান পাওয়া যায়। মাত্র সাড়ে আটশত মানুষের বসবাস এই হলস্ট্যাট এ, তবে বছরে মোট টুরিস্টের আগমন সাধারণ সময়ে প্রায় ১০ লাখের কাছাকাছি যদিও এখন কোভিড ১৯ এর কারণে ট্যুরিজম খুবই সীমিত।
বাড়িঘরগুলোর কাঠের বারান্দায় বড়দিনের বাতির সাজ আর রঙ্গিন দেয়াল যেন আশেপাশের সৌন্দর্য আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। ভিলেজের মূল স্কয়ারটিতে বেশ কিছু রেস্টুরেন্ট ও আশেপাশে সুভিনির শপও আছে। প্রায় ১ কিলোমিটার মূল রাস্তার একপাশে লেক অন্যপাশে পাহাড়ের ধাপে ধাপে নির্মিত বাড়িঘর। আর ভিলেজের মাঝে দিয়ে পাহাড় বেয়ে নেমে এসেছে ঝর্নার স্রোত।
হলস্ট্যাট এর মূল রাস্তার শেষ প্রান্তের নাম হলস্ট্যাট লান। এখানে স্থানীয় বাসস্যান্ড ও সুপারমার্কেট আছে। আর বাকি সব জায়গার মতন এখানে থেকেও হলস্টাট ভিলেজের একটা সুন্দর ভিউ পাওয়া যায়। একটু সামনে এগুলেই দুটো ছোট্ট দ্বীপের মতন জায়গা। ছবি তোলার জন্য বেশ ভাল জায়গা বলা যায়, কতক্ষণ সেখানে ছবি তুলে ভিডিও করতে করতে বেশ খানিকটা সময় পার করে ফেললাম।
ছবি তোলা আর বসে থাকার পর্ব শেষ করতে করতে হলস্ট্যাট এর বুকে সন্ধ্যা নেমে এল। বাড়িঘরগুলোর হলুদ বাতিগুলো জ্বল জ্বল করে উঠল এই পাহাড় কন্যার বুকে, লেকের পানিতে সেই আলোর রেখাগুলো যেন এক অন্য রকম মায়াবী সৌন্দর্য এনে দিল এই পাহাড়ের বুকে।
সারাদিনের ঘোরাফেরার শেষে আবারো ফেরি ঘাটে ফেরির জন্য অপেক্ষা, তারপর ট্রেনে করে সকালে যে পথে এসেছিলাম সেই পথেই ফিরছি। আর কুয়াশাঢাকা বাদ গইসার্ন ফিরে রাতের খাবার খেয়ে আজকের মতন ঘুম, পরদিন সকালে আছে অন্য প্লান।
পরদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে বাইরে বেড়িয়ে একটু ভালই লাগছিল আবহাওয়া আগের দুইদিনের চেয়ে কিছুটা ভাল হওয়াতে। যদিও আকাশ মেঘলা, তবে বৃষ্টি নেই আর মেঘের ফাঁকে ফাঁকে পাহাড়ের সাদা শুভ্র চুড়াগুলো উকি দিচ্ছিল। আগেরদিনের হলস্ট্যাট পেরিয়ে চলে এলাম ওবারট্রাওন নামক ছোট্ট ভিলেজে। এই ভিলেজটী মূলত এর স্কি রিসোর্ট এর জন্য বিখ্যাত। তাছাড়াও প্রায় ডাক্সটাইন মাউন্টেন রেঞ্জের ২১০০ মিঃটার উচ্চতায় থাকা কয়েকটি অবজারভেশন প্লাটফর্ম এর কারণেও এই জায়গাটিতে ট্যুরিস্টদের আনাগোনা থাকে।
কয়েকটি ধাপের স্কি লিফট বা কেবল কারে চড়ে পাহাড়ের উপরে উঠা যায়। আমরাও সেই প্লাটফর্মে যাবার আশায় স্টেশন থেকে বেশ খানিকটা হেঁটে ও একটু অংশ বাসে করে সরাসরি ডাক্সটাইন মাউন্টেন এর স্কি লিফট এর গোঁড়ায় চলে গেলাম। তবে আশায় গুড়ে বালি, পাহাড়ের উপরে প্রচন্ত বাতাস ও তুষার ঝড়ের কারণে সবচেয়ে উঁচু প্লাটফর্মগুলো বন্ধ। তাই আর উপরে উঠা হলনা। তবে এই জায়গাটাতেও বেশ ভালই লাগছিল। ছোট কি বড়, সবাই যেন চলে এসেছে এই শীতকালীন স্কি রিসোর্টে স্কি করতে। তাদের দেখে সামনে কোন একদিন স্কি করবো বলে ঠিক করে একটু রিসোর্টের নিজেদের দোকানে একটু ঢু মারলাম। সেখানে অনেক রকম স্কি গিয়ার ভাড়া নেয়া বা কেনা যায়।
আর স্কি রিসোর্ট ঘুরে এবার ফিরতি যাত্রা। ওবারট্রাওন থেকে হলস্ট্যাট এসে দুপুরের খাবার খেয়ে বাড গইসার্ন এ আমাদের হোস্টেলে থেকে ব্যাগ নিয়ে আবার সালজবুর্গ এর পথ ধরলাম। কাচের জানলা দিয়ে দূর পাহাড়ের মেঘের খেলা দেখতে দেখতে আর এই আসম্ভব সুন্দর পাহাড়ের কয়েকদিনের কথা ভাবতে ভাবতে আলো নিভে এল প্রায়। আর পাহাড়ের এই মায়া নিয়েই শেষ করছি এবারের পর্ব, দেখা হবে পরের পর্বে অন্য কোথাও…
Season 02 | Episode 01
Salzburg, Austria
স্বাগতম সবাইকে অস্ট্রিয়ার সালজবুর্গ সেন্ট্রাল স্টেশন থেকে প্রজেক্ট রিভাইভালের দ্বিতীয় সিজনের প্রথম পর্বে।
সালজবুর্গ নামের অর্থ লবণের প্রাসাদ, যা এসেছে শত বছর ধরে এই অঞ্চলের লবণের খনির প্রাচুর্যতার কারণে। অদূরে পাহাড়, মাঝে স্বচ্ছ জলের সালজাক নদী, নান্দনিক আর্কিটেকচার ও ঐতিহ্য সমৃদ্ধ এই শহরটি ভ্রমনপ্রিয় মানুষের কাছে অস্ট্রিয়ার সবচেয়ে জনপ্রিয় জায়গাগুলোর মাঝে একটি। তাছাড়া বিশ্বখ্যাত মিউজিক কম্পোজার মোজার্ট এর শহর বলেও বেশ পরিচিত এই সালজবুর্গ।
সালজবুর্গের মূল যানবাহন বাস ও ট্রাম। মাত্র ৪ ইউরো দিনে পুরো দিনের জন্য একটা টিকিট কিনে নিলেই ঘোরা যাবে সারাদিন। তবে শহরের মূল আকর্ষণগুলো একরকম হেঁটেই ঘুরে ফেলা যায়। আর হাটার জন্য ওল্ড টাউন হচ্ছে একদম পারফেক্ট জায়গা। শুধু পথচারীদের জন্য হাটার রাস্তা, দুইপাশে কেনাকাটার জন্য অনেক দোকানপাট, বিভিন্ন রককম স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক রেস্টুরেস্ট, ইত্যাদি চোখে পরার মতন।
ওল্ড টাউনের বড় অংশ সালজাক নদীর পাড় ঘেঁষেই অবস্থিত। পাহাড় থেকে বয়ে আসা স্বচ্ছ পানির এই নদীই প্রাচীনকাল থেকে এখন অব্দি সালজবুর্গের মূল কেন্দ্র বলা যায়।
বড়দিন চলে গেলেও উৎসবের আমেজ এখনও চারিদিকে তাকালেই দেখা যায়। নানা রঙের বাতির সাজসজ্জা, ক্রিসমাস ট্রি ডেকোরেশন, কিংবা মানুষের ভিড়, সব মিলিয়ে ছুটির দিনে আনন্দের রেশ সবখানেই। আর বড়দিনের এই সাজসজ্জার মূল কেন্দ্রবিন্দু হচ্ছে ক্রিসমাস মার্কেট। তাই ঢুকে পড়লাম ওল্ড টাউনের এই ক্রিসমাস মার্কেটে। দোকানিরা এটাসেটার পসরা সাজিয়ে বসেছে। হাতে তৈরি জিনিসপত্র, বাসা সাজানোর শোপিস, বাতি, ইত্যাদি বাদেও হরেক রকমের খাবারের দোকানেও মানুষের ভিড় দেখা গেল। আর মেলায় ঘুরে ফিরে ক্ষুধা পেয়ে গেলে ওয়াফেল, চেস্ট নাট, হট ডগ, হট ওয়াইন, ইত্যাদির দোকানে ভিড় করাই যায়।
ট্রাওন নদীর পাশ দিয়ে হেঁটে আর স্রোতের শব্দ শুনতে শুনতে মনে পড়ে গেল ২০১৯ সালে এই বাড গইসার্ন থাকার অভিজ্ঞতার কথা, আবহাওয়া ভাল থাকায় সেবার দূরের পাহাড়গুলো ভালভাবে দেখা গেছে। তবে এই বৃষ্টি আর সাদা বরফের আস্তরণে ঢাকা বাদ গইসার্নও অন্যরকম সুন্দর।
হলস্ট্যাট সম্ভবত অস্ট্রিয়ার সবচেয়ে বেশি পরিচিত জায়গাগুলোর মাঝে একটি। ইন্টারনেটে এই একটি ছবির ফ্রেম দেখে অনেক মানুষ ভিড় করেন এই জায়গাটিতে। আমরাও তাই এই সুন্দর দৃশ্যটিকে ফ্রেমবন্দি করে নিলাম। ১৭শ শতাব্দীর বাড়িঘর, শতশত বছরের পুরানো লবণের খনি, একদম ছবির মতন পাহাড়-লেকের সমষ্টি - সব মিলিয়ে অসাধারণ জায়গা। এই অঞ্চলে প্রায় ৭০০০ বছর আগে প্রথম লবণের সন্ধান পাওয়া যায়। মাত্র সাড়ে আটশত মানুষের বসবাস এই হলস্ট্যাট এ, তবে বছরে মোট টুরিস্টের আগমন সাধারণ সময়ে প্রায় ১০ লাখের কাছাকাছি যদিও এখন কোভিড ১৯ এর কারণে ট্যুরিজম খুবই সীমিত।
বাড়িঘরগুলোর কাঠের বারান্দায় বড়দিনের বাতির সাজ আর রঙ্গিন দেয়াল যেন আশেপাশের সৌন্দর্য আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। ভিলেজের মূল স্কয়ারটিতে বেশ কিছু রেস্টুরেন্ট ও আশেপাশে সুভিনির শপও আছে। প্রায় ১ কিলোমিটার মূল রাস্তার একপাশে লেক অন্যপাশে পাহাড়ের ধাপে ধাপে নির্মিত বাড়িঘর। আর ভিলেজের মাঝে দিয়ে পাহাড় বেয়ে নেমে এসেছে ঝর্নার স্রোত।
হলস্ট্যাট এর মূল রাস্তার শেষ প্রান্তের নাম হলস্ট্যাট লান। এখানে স্থানীয় বাসস্যান্ড ও সুপারমার্কেট আছে। আর বাকি সব জায়গার মতন এখানে থেকেও হলস্টাট ভিলেজের একটা সুন্দর ভিউ পাওয়া যায়। একটু সামনে এগুলেই দুটো ছোট্ট দ্বীপের মতন জায়গা। ছবি তোলার জন্য বেশ ভাল জায়গা বলা যায়, কতক্ষণ সেখানে ছবি তুলে ভিডিও করতে করতে বেশ খানিকটা সময় পার করে ফেললাম।
ছবি তোলা আর বসে থাকার পর্ব শেষ করতে করতে হলস্ট্যাট এর বুকে সন্ধ্যা নেমে এল। বাড়িঘরগুলোর হলুদ বাতিগুলো জ্বল জ্বল করে উঠল এই পাহাড় কন্যার বুকে, লেকের পানিতে সেই আলোর রেখাগুলো যেন এক অন্য রকম মায়াবী সৌন্দর্য এনে দিল এই পাহাড়ের বুকে।
সারাদিনের ঘোরাফেরার শেষে আবারো ফেরি ঘাটে ফেরির জন্য অপেক্ষা, তারপর ট্রেনে করে সকালে যে পথে এসেছিলাম সেই পথেই ফিরছি। আর কুয়াশাঢাকা বাদ গইসার্ন ফিরে রাতের খাবার খেয়ে আজকের মতন ঘুম, পরদিন সকালে আছে অন্য প্লান।
পরদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে বাইরে বেড়িয়ে একটু ভালই লাগছিল আবহাওয়া আগের দুইদিনের চেয়ে কিছুটা ভাল হওয়াতে। যদিও আকাশ মেঘলা, তবে বৃষ্টি নেই আর মেঘের ফাঁকে ফাঁকে পাহাড়ের সাদা শুভ্র চুড়াগুলো উকি দিচ্ছিল। আগেরদিনের হলস্ট্যাট পেরিয়ে চলে এলাম ওবারট্রাওন নামক ছোট্ট ভিলেজে। এই ভিলেজটী মূলত এর স্কি রিসোর্ট এর জন্য বিখ্যাত। তাছাড়াও প্রায় ডাক্সটাইন মাউন্টেন রেঞ্জের ২১০০ মিঃটার উচ্চতায় থাকা কয়েকটি অবজারভেশন প্লাটফর্ম এর কারণেও এই জায়গাটিতে ট্যুরিস্টদের আনাগোনা থাকে।
কয়েকটি ধাপের স্কি লিফট বা কেবল কারে চড়ে পাহাড়ের উপরে উঠা যায়। আমরাও সেই প্লাটফর্মে যাবার আশায় স্টেশন থেকে বেশ খানিকটা হেঁটে ও একটু অংশ বাসে করে সরাসরি ডাক্সটাইন মাউন্টেন এর স্কি লিফট এর গোঁড়ায় চলে গেলাম। তবে আশায় গুড়ে বালি, পাহাড়ের উপরে প্রচন্ত বাতাস ও তুষার ঝড়ের কারণে সবচেয়ে উঁচু প্লাটফর্মগুলো বন্ধ। তাই আর উপরে উঠা হলনা। তবে এই জায়গাটাতেও বেশ ভালই লাগছিল। ছোট কি বড়, সবাই যেন চলে এসেছে এই শীতকালীন স্কি রিসোর্টে স্কি করতে। তাদের দেখে সামনে কোন একদিন স্কি করবো বলে ঠিক করে একটু রিসোর্টের নিজেদের দোকানে একটু ঢু মারলাম। সেখানে অনেক রকম স্কি গিয়ার ভাড়া নেয়া বা কেনা যায়।
আর স্কি রিসোর্ট ঘুরে এবার ফিরতি যাত্রা। ওবারট্রাওন থেকে হলস্ট্যাট এসে দুপুরের খাবার খেয়ে বাড গইসার্ন এ আমাদের হোস্টেলে থেকে ব্যাগ নিয়ে আবার সালজবুর্গ এর পথ ধরলাম। কাচের জানলা দিয়ে দূর পাহাড়ের মেঘের খেলা দেখতে দেখতে আর এই আসম্ভব সুন্দর পাহাড়ের কয়েকদিনের কথা ভাবতে ভাবতে আলো নিভে এল প্রায়। আর পাহাড়ের এই মায়া নিয়েই শেষ করছি এবারের পর্ব, দেখা হবে পরের পর্বে অন্য কোথাও…
Commenting disabled.